সাহিত্যের হরিচরণ, হরিচরণের সাহিত্য





কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের পরিচয় তাঁদের অনির্বাণ কর্ম। কর্মের প্রজ্জ্বলিত শিখা তাঁদেরকে চিরকাল তাড়িয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে, সুখ-স্বাছন্দ্য-স্বস্তি নয়, বরং অবিরাম-অবিরল কর্মের তাড়না তাঁদেরকে আজীবন কখনও স্বস্তির বিশ্রাম অথবা আলস্যের নিদ্রায় নিমগ্ন করেনি। খুব নিঃশব্দে, প্রায় চুপিচুপি পেরিয়ে গেল এমনই এক কর্মযোগীর জন্মের একশো তিপ্পান্নতম বর্ষ। তিনি আভিধানিক হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।


হরিচরণ তাঁর অভিধান রচনা করেন (১৯৩২-৫১ পর্যন্ত সময়কালে), অভিধান না বলে তিনি ‘শব্দকোষ’ নামকরন করেছিলেন, ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’-এর পূর্বে উইলিয়ম কেরির দুই খণ্ডে বাংলা অভিধান রয়েছে, যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি’র বাঙ্গালা শব্দ কোষ (১৯১৩), জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস’-এর বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (১৯১৭) কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন বঙ্গীয় শব্দকোষ অভিধান হিসেবে অন্য মাত্রা পায়? আভিধানিকের অভিধান রচনার পেছনে যে প্রেক্ষাপট এবং ঘটনা পরম্পরা রয়েছে সেদিকে একটু নজর দেওয়া যাক।


যশাইকাটি গ্রামে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটা। ১৮৬৭ সালের ২৩শে জুন, তাঁর মাতুলালয় রামনারায়ণপুরে তাঁর জন্ম। হরিচরণের পিতা বা পিতামহ কেউই সে অর্থে পণ্ডিত ছিলেন না, যদিও তাঁদের বংশ ছিল পণ্ডিতের বংশ। বিশেষত সংস্কৃতচর্চার ধারা ছিল বংশপরম্পরাগত। জীবনের প্রথম লগ্নে তিনি প্রথমে হেড পণ্ডিতের চাকরি নেন, আবার কখনো নাড়াজোল রাজবাড়িতে গৃহশিক্ষকের ভূমিকা নেন। পিসতুতো দাদা যদুনাথ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সদরে খাজাঞ্চি। রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছেন, ভেতরে ভেতরে ঐ আশ্রমে শিক্ষকতার স্পৃহা কাজ করলেও, নিজেকে সংবরণ করেন। দাদা যদুনাথ একদিন সুযোগ মতো কবিগুরুর কাছে হরিচরণের চাকরির প্রার্থনা করেন, প্রসঙ্গত হরিচরণের ছাত্রাবস্থায় একবার তিনি রবিবাবুর থেকে কিছু মাসিক বৃত্তি পেয়েছিলেন। সেই বৃত্তান্ত রবিবাবুর মনে পড়ায়, তিনি নায়েব অমৃতলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন, যাতে হরিচরণের একটি কাজের ব্যবস্থা হয়। সেইমতো হরিচরণ কালীগ্রাম পরগরণার সদর কাছারি পতিসরে, কাজে যোগ দিলেন।


সেবার পাতিসরে রবিবাবু গিয়েছেন, কথাপ্রসঙ্গে হরিচরণকে ডেকে পাঠালেন,

‘‘দিনে তো সেরেস্তায় কাজ করো, রাত্রিতে কী করো?’’

হরিচরণ জানালেন, ‘‘সন্ধ্যার পর কিছুক্ষণ সংস্কৃতের আলোচনা করি। কিছুক্ষণ একখানি বইয়ের পাণ্ডুলিপি দেখে প্রেসের কপি-পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করি।’’

রবীন্দ্রনাথ তাঁর থেকে পাণ্ডুলিপি চেয়ে একটু দেখে-শুনে ফেরত দিয়ে দিলেন।

দিন কয়েক পরের ঘটনা। শান্তিনিকেতন থেকে বার্তা এল পতিসরের ম্যানেজার শৈলেশচন্দ্র মজুমদারের কাছে। ‘‘শৈলেশ, তোমার সংস্কৃতজ্ঞ কর্মচারীকে এইখানে পাঠাইয়া দাও।’’




আশ্রমে সংস্কৃত পড়াতেন শিবধন বিদ্যার্নব। পারিবারিক কারণে তিনি আশ্রম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। হরিচরণ এসে সংস্কৃতের অধ্যপনার ভার গ্রহণ করলেন। সে সময়ে সংস্কৃত পড়াবার নির্দিষ্ট কোনো বই ছিল না। কবি একদিন তাঁকে ডেকে ছেলেদের জন্য একটি সংস্কৃত পাঠ্য-পুস্তকের কথা উল্লেখ করেন, এবং তাঁর অসমাপ্ত ‘সংস্কৃত-প্রবেশ’-এর পাণ্ডুলিপি তাঁর হাতে তুলে দেন। তিন খণ্ডে হরিচরণ এর রচনা করেন। ‘সংস্কৃত প্রবেশ’ রচনাকালেই কবি একদিন কথায় কথায় হরিচরণকে বলেন, ‘‘আমাদের বাংলা ভাষায় কোন অভিধান নেই, তোমাকে একখানি অভিধান লিখতে হবে।’’ কবির ইচ্ছানুসারে হরিচরণ অভিধান রচনায় হাত দিলেন (১৩১২ বঙ্গাব্দে)। শব্দের বর্ণানুক্রমিক বিন্যাস, ব্যাখ্যা, অর্থ ও শিষ্ট প্রয়োগ করে লিখতে আরম্ভ করেন। অভিধান সংকলন প্রসঙ্গে হরিচরণ লিখেছেন, ‘‘অভিধান সঙ্কলনে কেহই আমার পথ-প্রদর্শক ছিলেন না; কোন বিজ্ঞ অভিধানিকের সাহায্যলাভের আশাও করিতে পারি নাই। নিজ বুদ্ধিতে যে পথ সহজ বুঝিয়াছিলাম, তাহাই আশ্রয় করিয়া কার্জে অগ্রসর হইয়াছি।’’


বিশ্বভারতীর গ্রন্থাগারের একটি প্রকোষ্ঠে বসে অভিধান রচনার সাধনায় মগ্ন থাকতেন। শুধু বাংলা নয়, সংস্কৃত, পালি-প্রাকৃত, ফার্সি, হিন্দি, উর্দু, গুজরাতি, মারাঠি, উড়িয়া, ইংরেজি ইত্যাদি নানা ভাষার অভিধান। এছাড়াও প্রাচীন, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের, সংস্কৃত পালি প্রাকৃত সাহিত্যের যাবতীয় পুস্তক।


রবীন্দ্রনাথ কাজের অগ্রগতির সমস্ত খবর রাখতেন, তিনি রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীকে একটি চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘‘আমাদের অধ্যাপক হরিচরণ একখানি বাংলা অভিধান রচনায় নিযুক্ত হইয়াছেন—আপনারা যাহা চান ইনি তাহাই করিয়া তুলিতেছেন। এ গ্রন্থখানি রচিত ও প্রকাশিত হইলে দেশের একটি মহৎ অভাব দূর হইবে।’’


আর্থিক অসঙ্গতির কারণে ১৩১৮ বঙ্গাব্দে গ্রীষ্মবকাশের পর হরিচরণ আশ্রমে আর যোগদান করেননি। অন্য কাজ খুঁজে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন, স্বয়ং গুরুদেব। তখন আশ্রমে রীতিমতো আর্থিক অনটন চলছে। এই সময়ে সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ ক্ষুদিরাম বসুর অনুরোধে মেট্রোপলিটন কলেজে সংস্কৃতের অধ্যাপকরূপে যোগদান করেন। শিক্ষকতার কাজে যুক্ত থাকলেও তাঁর অভীষ্ট কাজ থেকে সরে আসায় তিনি যথেষ্ট পীড়া বোধ করতেন, জোড়াসাঁকোয় গুরুদেবের কাছে গিয়ে দেখা করে মনের এই বেদনার কথা জানালেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর একটি বৃত্তির ব্যবস্থা করেন কাশিমবাজারের মহারাজ মণীন্দ্র নন্দীর মাধ্যমে, মহারাজের ইচ্ছে ছিল তিনি কাজটি কাশিমবাজার থেকে প্রকাশ করুন কিন্তু হরিচরণ বিনয়ের সঙ্গে জানান যে, তিনি শান্তিনিকেতনেই বাকি কাজটি করতে চান। বিদ্যালয়েরও ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি তাড়াতাড়ি শান্তিনিকেতনে ফিরেও আসেন। ১৩৩০ বঙ্গাব্দে তিনি পাণ্ডুলিপির কাজ শেষ করেন, মহারাজ এই অভিধান ছাপার জন্য কাশিমবাজারে পাঠাতে বলেন, কিন্তু গুরুদেবের ইচ্ছে, বিশ্বভারতী থেকেই এটির প্রকাশ হোক। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, বিধুশেখর শাস্ত্রী প্রমুখদের তত্ত্বাবধানের ‘সম্পাদক সংঘ’ তার যথাযথ ব্যবস্থা নিক। এই মর্মে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গীয় পাঠক সমাজের কাছে আবেদন পেশ করেন, ‘‘শ্রীযুক্ত হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় গত ত্রিশ বছর ধরিয়া বাংলা অভিধান রচনায় নিযুক্ত আছেন। সম্প্রতি তাঁহার কার্য সমাপ্ত হইয়াছে।… এই পুস্তক বিশ্বভারতী হইতে আমরা প্রকাশ করিবার উদ্যোগ করিতেছি।… বাংলাদেশের পাঠক সাধারণ এই কার্যে আনুকূল্য করিয়া বাংলা সাহিত্যের গৌরব বৃদ্ধি করিবেন একান্তমনে ইহাই কামনা করি।’’ কিন্তু বিশ্বভারতীর করুণ আর্থিক অবস্থা প্রকাশনার কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘ সময়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় হরিচরণ চেষ্টা করলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যাতে এটি ছাপার দায়িত্ব নেয়। কিন্তু সেখানেও আর্থিক অনটন। অন্তত পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগবে। কোনও দাতা পাওয়া গেলো না, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যথেষ্ট উৎসাহ দিলেও অর্থাভাবে কাজটি স্থগিত রইলো। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে গেলেন, সেখানেও একই অবস্থা। মাঝে মধ্যেই গুরুদেব-রথী ঠাকুর, সুনীতিকুমার এঁদের মধ্যে আলোচনা হয় কীভাবে প্রকাশ করা যেতে পারে এই অমূল্য বৃহদাকার কাজটি, কিন্তু সুরাহা বেরোয় না। এইভাবে নয় বছর কেটে গেল। হরিচরণ কিন্তু জেদ ছাড়েননি। দেখা করলেন, বিশ্বকোষ-এর নগেন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে। বসু মশায়, বললেন, ‘‘আমি এটিকে প্রকাশ করবো। এখন আপনি কাগজের দাম দিন, ছাপার খরচ পরে ক্রমে ক্রমে দেবেন।’’ রবীন্দ্রনাথের আশিস নিয়ে অভিধানের প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় (১৩৩৯ বঙ্গাব্দে), দরিদ্র বৃদ্ধ হরিচরণ তাঁর জীবনের যাবতীয় সঞ্চয় এই অভিধানের জন্য খরচ করেন। সুদীর্ঘ ৩৬ বছরের কঠোর পরিশ্রমে ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে হরিচরণ দ্বিতীয়বার পাণ্ডুলিপি সমাপ্ত করেন, ১০৫ খণ্ডে সমাপ্ত অভিধানের শেষ খণ্ড বেরোয় ১৩৫২ বঙ্গাব্দে। অভিধান মুদ্রণে বিশ্বভারতী সরাসরি অর্থ সাহায্য না করলেও এটি বিক্রির ব্যবস্থা তাঁরা করেছিলেন, কোনও কমিশন ছাড়াই। এছাড়াও রথী ঠাকুর, নাড়াজোলের রাজা, বিশ্বভারতীর সংসদ, আশ্রমিক সংঘের অর্থ সাহায্য হরিচরণের বিপুল দায়ভার কিছুটা লাঘব করেছিল।


মহাত্মা গান্ধী, ‘হরিজন’ পত্রিকায় হরিচরণকে অক্সফোর্ডের অধ্যাপক মারে এবং বিশ্বকোষ প্রণেতা নগেন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে সমগোত্রীয় বলে উল্লেখ করেন।

প্রায় চারদশক ধরে শব্দকোষের মতো দুরূহ কাজ হরিচরণ সম্পাদনা করেছেন নিরলস সাধনায়। ছোটোদের জন্য সংস্কৃত বই লিখেছেন। ম্যাথু আর্নল্ডের ‘সোরাব ও রুস্তম’ তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দে অনুবাদ করেছেন। তাঁর শান্তিনিকেতন প্রসঙ্গ ও আত্মস্মৃতিমূলক রচনার বেশিরভাগই ‘রবীন্দ্রনাথের কথা’ ও ‘কবির কথা’ এই দুটি বইয়ে সংকলিত হয়েছে।

নিজের জীবনে হরিচরণ ছিলেন অত্যন্ত নিয়মনিষ্ঠ, বিনয়ী এবং আড়ম্বরহীন। খাওয়ার পর এক খিলি পান ছাড়া কোনোরকম আড়ম্বর ছিল না। শান্তিনিকেতনের প্রথম যুগের কর্মীদের সম্পর্কে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি করে চৌপদী লিখেছিলেন, নিষ্ঠাবান কর্মী হরিচরণ সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘কোথা গো ডুব মেরে রয়েছ তলে/ হরিচরণ, কোন গরতে ?/ বুঝেছি, শব্দ-অবধি-জলে/ মুঠাচ্ছ খুব অরথে।’


একলব্য গুরু দক্ষিণা হিসেবে তার ডান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়েছিল। হরিচরণ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের কাছে উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁর দৃষ্টিশক্তি। দীর্ঘ সময় ধরে প্রভূত গ্রন্থ থেকে শব্দ খোঁজা এবং তাঁদেরকে যূথবদ্ধ করতে করতে তাঁর অক্ষিস্নায়ু ক্লান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিল, শেষ বয়সে তিনি চোখে কিছুই দেখতে পেতেন না। শেষ জীবনে তিনি পরম তৃপ্তির সঙ্গে এই কথা বলেছেন, ‘‘চোখদুটো হয়তো এমনিই যেত, গুরুদেবের নির্দিষ্ট কাজে চোখদুটো উৎসর্গ করতে পেরেছি, এটাই আমার পরম সান্ত্বনা।’’


অমিতাভ চৌধুরী, হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, অমিয়কুমার সেন এবং কমলাকান্ত শর্মা ছদ্মনামে প্রমথনাথ বিশী তাঁদের হরিচরণ বা হরিবাবুকে দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন সেসব লেখা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা পত্রিকার পাতায়। পুলিনবিহারী সেন, পরিমল গোস্বামী, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মূল্যায়ন রয়েছে সময়ের অন্তস্থলে।


তাকে আশ্রয় করে বুদ্ধদেব বসু লিখেছিলেন, ‘একটি জীবন’ নামে একটি গল্প।


হরিচরণের তেমন ভালো ছবিও পাওয়া যায় না, সাকুল্যে দুটি, একটি শান্তিনিকেতনে তিনি ক্লাস করাচ্ছেন, অন্যটি পরিমল গোস্বামীর আলোকচিত্র, অভিধান রচনায় নিমগ্ন।




নৃপেন চক্রবর্তী এই মৃদু ও বিনয়ী মানুষটিকে একখানি স্মৃতি তর্পণ করেছিলেন, সেটি দিয়েই এই কথার ইতি টানি, 


‘‘গুরুপল্লীর রাস্তা ডিঙিয়ে তিনি এইমাত্র/ লাইব্রেরি ঘরে গেলেন।/ ওখানে অনেকক্ষণ থাকবেন,/ গোনাগুণতি কথা বলবেন, কিংবা/ কোনও কথাই বলবেন না হয়তো !/ ঐ রকমই—শামুক খোলসে হাত-পা গোটানো মানুষ !/ কোথায় কি ভাঙচুর হচ্ছে/ সে সব তাঁর ভাবনার বাইরে—কাজ মাতাল মানুষ,/ রাত্রিদিন শুধুই শব্দ খুঁজছেন,/ খুঁজছেন আর সাজাচ্ছেন, শব্দের পর শব্দ।/ জহুরি নজর এড়িয়ে একটাও পাশ কাটিয়ে যেতে পারছে না!..../ তোমাকে বরণ, বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীহরিচরণ।’’


______________


সুশোভন প্রামাণিক, ২২শে জুন ২০২০





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চোদ্দ ভূতের আসরে

পার্টিশনের জীবনভাষ্য: প্রজন্মান্তরের খোঁজ

বুদ্ধের পুতাস্থি: রাখা রয়েছে কলকাতাতেই