পোস্টগুলি

মে, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বুদ্ধের পুতাস্থি: রাখা রয়েছে কলকাতাতেই

ছবি
হিউয়েন সাঙ তাঁর ভ্রমণ-বিবরণে বুদ্ধের বঙ্গভূমি পরিভ্রমণের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, তিনি সমতটের যে স্থানে সাতদিন থেকে ধর্ম প্রচার করেছিলেন, মগধের রাজা অশোক সে স্থানে একটি স্তূপ বানিয়েছিলেন। স্তূপটি তিনি দেখেওছিলেন। কিন্তু বাঙালির ইতিহাস সন্ধান করতে গিয়ে ড. নীহাররঞ্জন রায় এই বিষয়ের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছিলেন বুদ্ধদেব পূর্বদিকে দক্ষিণ বিহারের সীমা অতিক্রম করেছিলেন বলে কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই। তাই বলে বাঙালির বৌদ্ধ হওয়া আটকায়নি। অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, নর্ডিক, মঙ্গোলীয়—নৃতত্ত্বের এই মহা সম্মিলনে গড়ে ওঠা বাঙালি জাতির আদি ধর্ম হিসেবে বৌদ্ধ ধর্মের উল্লেখ, বিকাশ এবং বিস্তারের সূত্রগুলো আজ হয়তো অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে, কিন্তু বাংলা এবং বাঙালির সঙ্গে বুদ্ধের যোগ, বৌদ্ধ ধর্মের যোগ কখনোই মুছে যায়নি।  নিজের উৎসকে ফিরে দেখতে গিয়ে বাঙালি বারবার ইতিহাসের যে পাতায় ফিরে এসেছে সেখানে লেখা রয়েছে ‘বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি’-র বীজমন্ত্র। সাহিত্যের পাতাতেও সেই সুর, সহজিয়া বৌদ্ধ সাধকদের লেখা চর্যাপদের উপর বাঙালিরই একান্ত অধিকার। বাঙালি এককালে বৌদ্ধ ছিল। কিন্তু গঙ্গা দিয়ে তারপর বয়ে গেছে অনেক জল। কোণঠাসা...

বর্ণান্ধ রবীন্দ্রনাথ

ছবি
  শিলাইদহের পদ্মা, চরাচর ছড়ানো আঁচলের মতো পদ্মার পাড়ে বাংলার অন্তরঙ্গ গ্রাম, সুন্দর আর সমস্যার সহাবস্থানে দূর থেকেই তাকে দেখছেন এক কবি। জোড়াসাঁকোর তেতলার রেলিংএর ফাঁক গলে দেখা প্রাচীন বট আর সেকালের কলকাতার জলছবি ছাড়িয়ে সেই প্রথম তাঁর এক অন্য জগতের কাছকাছি আসা। কুঠিবাড়ি তাঁর ভাল লাগে না। পদ্মার বুকে অনন্ত জলের উপর অসীম আকাশের নিচেই কাটান সারাটা দিন। সেই প্রথম, যখন কবি রবীন্দ্রনাথের হাত ধরছেন শিল্পী রবীন্দ্রনাথ… মনের গহনের মানসী তাঁকে নিয়ে যাচ্ছে নিরুদ্দেশের পথে, আর প্রকৃতি তার ডালি উপুর করে ঢেলে দিয়ে যাচ্ছে পরম নৈবেদ্য… সেরকমই একটি দিন… সূর্য ঢলে পড়ছে পদ্মার দিগন্তে, নদীর বুকে তখন গলানো সোনা, দূরের গাছপালায় অস্তরাগের প্রতিধ্বনি… কবি শুনছেন, দেখছেন দুচোখ ভরে। এই দেখা আর এই শোনাকে মনের ভেতর থেকে এনে ঢেলে দিচ্ছেন ছিন্নপত্রের পাতায়… আঠারোশো চুরানব্বই সালে ভাইজি ইন্দিরাকে লেখা তেমনই একটি চিঠির পাতা ওলটাতে গিয়ে নজরে এলো এক আশ্চর্য কথা। বর্ণময় সেই সূর্যাস্ত দেখে মুগ্ধ রবীন্দ্রনাথ লিখছেন,  “কত রকমেরই যে রং চতুর্দিকে ফুটে উঠেছিল সে আমার মতো সুবিখ্যাত রঙকানা লোকের পক্ষে বর্ণনা করতে বসা ধ...