প্রথমা আনন্দী
১৮৮৬ সালে পেনসিলভেনিয়া মেডিকেল কলেজে পাঠরত আন্নদীবাই যোশী ‘আমি জানি, নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে কেমন করে আপনি বিদেশে গিয়েছেন এবং অধ্যবসায়ের সঙ্গে জ্ঞানার্জন করছেন। আমাদের দেশে আধুনিক যুগে আপনি এক মহান নারী। জানতে পারলাম, আপনার এখন অর্থের প্রয়োজন। আমি এক পত্রিকার সম্পাদক। আয় বেশি নয়। তবু আপনাকে ১০০ টাকা পাঠাতে চাই।’ চিঠিটি লিখছেন ‘কেশরী’ পত্রিকার সম্পাদক বাল গঙ্গাধর তিলক, আর যাকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে এই চিঠি তাঁর নাম আনন্দীবাই জোশি। ভারতের প্রথম মহিলা ডাক্তার তিনি। বিয়ের আগে তাঁর নাম ছিল যমুনা। ১৮৬৫ সালে মহারাষ্ট্রের ঠানে জেলার কল্যাণে তাঁর জন্ম। মাত্র ন’বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয় ডাক বিভাগের কর্মী, বছর ঊনত্রিশের গোপাল রাওয়ের সঙ্গে। তিনিই যমুনার নাম দিয়েছিলেন ‘আনন্দী’। তৎকালীন সময়ের নিরিখে আনন্দীর বিয়ে কিছুটা হলেও দেরিতেই হয়েছিল। আরও একটি বিষয় উল্লেখ্য, মেয়ে হলেও আনন্দী অল্পস্বল্প মরাঠি পড়তে পারতেন, অক্ষর জ্ঞান তাঁর ছিল। সেই সময়ের নিরিখে যা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ; কেননা তখন বাংলার বুকে নবজাগরণের ঢেউয়ে স্ত্রী শিক্ষার যৎসামান্য প্রসার ঘটলেও, সর্বভারতীয় স্তরে, বিশেষ করে পশ্চিম বা উত্তর ভারত...